অতিরিক্ত ঘুমের অসুবিধা এবং সুবিধা কি?

অতিরিক্ত ঘুম,অতিরিক্ত ঘুম দূর করার উপায়,ঘাম অতিরিক্ত হওয়া,গর্ভবতীর ঘুমের সমস্যা,গর্ভাবস্থায় ঘুমের সমস্যা,অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তির উপায়,পড়া এবং ঘুম,দেরিতে ঘুমের অপকারীতা,শিশুর ঘুমের a to z,শিশুদের ঘুমের সময়,শিশুর ঘুমের সমস্যা,নবজাতকের ঘুমের সমস্যা


  • অতিরিক্ত ঘুম,
  • অতিরিক্ত ঘুম দূর করার উপায়,
  • ঘাম অতিরিক্ত হওয়া,
  • গর্ভবতীর ঘুমের সমস্যা,
  • গর্ভাবস্থায় ঘুমের সমস্যা,
  • অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তির উপায়,
  • ড়া এবং ঘুম,
  • দেরিতে ঘুমের অপকারীতা,
  • শিশুর ঘুমের a to z,
  • শিশুদের ঘুমের সময়,
  • শিশুর ঘুমের সমস্যা,
  • নবজাতকের ঘুমের সমস্যা

আপনি হয়তো ১০-১১ ঘণ্টাই ঘুমাচ্ছেন, কিন্তু আপনার কাছে মনে হচ্ছে না অতিরিক্ত ঘুম। বরং ভাবছেন, ২৪ ঘণ্টা ঘুমাতে পারলে ভালো লাগত। 

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপিং ফাউন্ডেশন সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদের একটি গবেষণায় বলেছে, ১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়সী একজন মানুষের সুস্থ থাকার জন্য সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমই যথেষ্ট। 

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শন ইয়ংস্ট্যাড্ট ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে বলেছেন, সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্ন যা-ই হোক, সাত ঘণ্টার বেশি ঘুম ঠিক নয়। 

অন্যান্য গবেষণারও মিল পাওয়া যায় এর সঙ্গে। দেখা যায়, মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য সাত ঘণ্টা ঘুমই পর্যাপ্ত।


কারও কাছে যদি মনে হয়, সাত ঘণ্টা একটু কম হয়ে যাচ্ছে। মাথা ঘোরাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা তাহলে আরও এক ঘণ্টা ঘুমানোর অনুমতি দেন। 

কিন্তু কোনোভাবেই এর বেশি নয়। ছুটির দিনে আরেকটু বেশি ঘুমালে কোনো অসুবিধা নেই; তা-ও নয় ঘণ্টার বেশি নয়। 

যুক্তরাষ্ট্রের ২ শতাংশ মানুষের ছোটবেলা থেকে দেরি করে ঘুম ওঠার অভ্যাস। রোগব্যাধি তাদের শরীরে বেশি হয়।


বেশি ঘুমালে কী হয় ?


ভালো ঘুম হলে চেহারা সুন্দর হয়, এটা যেমন ঠিক; আবার বেশি ঘুমাতে গিয়ে যেসব রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।


শারীরিক বৈকল্য

বিষণ্নতা

অতিরিক্ত প্রদাহ

প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়া

শরীরে অতিরিক্ত ব্যথা অনুভূতি

স্থূলতা

হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা

ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়া

কীভাবে ঘুমের ঘড়ি ঠিক রাখবেন:


‘স্লিপ সাউন্ডলি এভরি নাইট, ফিল ফ্যানটাসটিক এভরি ডে’—আ ডক্টর’স সল্যুশন টু সলভিং ইওর স্লিপ প্রবলেমস বইয়ের লেখক ও বিখ্যাত ঘুমের ওষুধ বিশেষজ্ঞ ডা. রবার্ট রোসেনবার্গ এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।


সাত-আট ঘণ্টার পর্যাপ্ত ঘুম ঘুমাতে হবে।

ঘরে ভারী পর্দা ব্যবহার না করা ভালো; যাতে দিনের প্রথম রোদ ঘরে ঢুকতে পারে।

মৃদু শব্দে অ্যালার্ম দিয়ে রাখতে হবে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো এবং ওঠার অভ্যাস করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে ছুটির দিনেও এই নিয়ম মেনে চলার।

বিকেল চারটার পর হালকা ঘুমানো বা ন্যাপ নেওয়া উচিত নয়।

দিনের বেলা হাঁটাচলা করলে রাতে সময়মতো ঘুম আসবে। তাতে সাত ঘণ্টা ঘুমালেও ঝরঝরে লাগবে নিজেকে।



Sponsar
Share It